Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

অফিস সম্পর্কিত

 

 

আজমিরীগঞ্জ থানা 

আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি যাহা আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন আজমিরীগঞ্জ মৌজায় অবস্থিত। যার জে.এল.নং- ২৯, দাগ নং- ১১৫৬,১৬২৯,১৬৩০,১৬৩১ যাতে মোট ভূমির পরিমান ১ একর ২৩ শতক ২৫ অযুতাংশ। থানা ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন। ১৯৯৬ সালে থানা ভবনটি নির্মান করা হয়। উপমহাদেশের বিশ্ব-বিখ্যাত সুফী সাধক সুলতানুল হিন্দ খাঁজা গরীবে নেওয়াজ হযরত খাঁজা মঈন উদ্দিন চিশতী আজমিরী (রহঃ) এর সুযোগ্য প্রতিনিধি কুতুবে রব্বানী হযরত শাহ্ সূফী আলহাজ্ব হাফিজ খাঁজা সৈয়দ মোহাম্মদ ইসহাক চিশতী প্রায় দেড় শতাব্দী পূর্বে আজমির শরীফের প্রতিনিধি হিসেবে এই প্রাচীন জনপদে পবিত্র ইসলাম ধর্মের প্রচার প্রসারের লক্ষে সুদূর ভারত হইতে হিজরত করে তশরীফ এনেছিলেন। তার পবিত্র প্রচারনায় এবং অসাম্প্রদায়ীক পবিত্র বানীর প্রভাবে ধীরে ধীরে দ্বীন ও ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় লাভ করে এবং সর্ব সাধারণ তাকে আজমিরী বাবা বলে অবহিত করেন। পরবর্তী সময়ে আজমিরী বাবা কুতুবে রব্বানী আউলিয়ায়ে কামিল হযরত শাহ্ সূফী আলহাজ্ব খাঁজা হাফিজ সৈয়দ মোহাম্মদ ইসহাক চিশ্তী (রহঃ) এর পবিত্র স্মৃতি স্মরনে সরকারী গেজেট নটিফিকেশনের মাধ্যমে আজমিরীগঞ্জ নামকরণ করা হয়। ১৯০৭ সালে আসাম সরকারে অধীনে আজমিরীগঞ্জ থানায় পরিনত হয় এবং ১৯৮৩ সালে আজমিরীগঞ্জ থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে আজমিরীগঞ্জ উপজেলাটি ০১টি পৌরসভা ও ০৫টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হইতেছে। যার পশ্চিম পাশ ঘেষে বয়ে গেছে সুরমা, কুশিয়ারার মিলিত স্রোত কালনী-কুশিয়ারা-ভেড়ামোহনা। বছরের অর্ধেক সময়ের বেশী সময় জলমগ্ন থাকে এই উপজেলার অধিকাংশ এলাকা। আজমিরীগঞ্জ এর উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা, পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা, পূর্বে ও দক্ষিনে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা অবস্থিত। ভাটি অঞ্চলের রাজধানী হিসেবে খ্যাত আজমিরীগঞ্জ উপজেলা। হবিগঞ্জ জেলা শহর হইতে ৪০কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত এই উপজেলা। এই উপজেলার মোট আয়তন ২২৩.৯৮ বর্গ কিঃমিঃ। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ হল মাছ ও ধান। হাওড় বেষ্টিত ভাটি অঞ্চল বিধায় বর্ষার মৌসুমে মাছ ধরা ও শুকনো মৌসুমে চাষাবাদ করা মানুষের পেশা। এই উপজেলায় ছিল এশিয়া মহাদেশের সবচাইতে বড় ফিশিং ইন্ড্রাষ্ট্রি যার নাম ছিল আজমিরীগঞ্জ ফিশিং ইন্ড্রাষ্ট্রি। কালনী-কুশিয়ারা নদী দিন দিন ভরাট হওয়ায় ও হাওড়ে মানুষের বাসস্থান নির্মান করায় মাছের উৎপাদন দিন দিন কমে যাওয়ায় অনেক বছর পূর্বে ফিশিং ইন্ড্রাষ্ট্রি টি বন্ধ হয়ে যায়। এই উপজেলার মানুষ মৎস শিকার ও কৃষির উপর নির্ভরশীল।